বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:১৭ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের অনুপস্থিত থাকাকে অনভিপ্রেত বলে মন্তব্য করেছেন কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। আজ রোববার উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের বেতন-ভাতা ও পেনশন বাড়ানোসংক্রান্ত দুটি বিলের প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। সংসদীয় কমিটি যাচাই-বাছাই করে আজ সুপ্রিম কোর্ট জাজেস (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজেস) (সংশোধন) বিল ২০১৬-এর প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করে। এর আগে গত ৫ মে বিলটি সংসদে উত্থাপিত হয়। সংসদ সচিবালয় থেকে জানা যায়, বিলটি নিয়ে আলোচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে বৈঠকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
প্রতিবেদনে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদে বিভিন্ন সময়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রাররা জাতীয় সংসদের কমিটির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে উপস্থিত থাকলেও বর্তমানে কমিটিতে বিবেচনাধীন তাঁদের দুটি বিলের বিষয়ে মতামত জানাতে উপস্থিত হননি। বরং তাঁরা রহস্যজনক কারণে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। এর ফলে কমিটিতে বিল দুটি পরীক্ষায় জটিলতার সৃষ্টি হয় এবং বিল দুটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দিতেও বিলম্ব হয়। কমিটিতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের না আসাকে কমিটি অনভিপ্রেত মনে করছে।
সুরঞ্জিত আরও বলেন, সহনশীল মনোভাব নিয়ে অগ্রসর হতে পারলেই মঙ্গল আসবে। অন্যথায় গণতন্ত্রের ভিত শক্ত করা যাবে না। এ জন্য রাষ্ট্রীয় তিনটি অঙ্গকে তাদের মধ্যে মতভেদ ভুলে জনগণের স্বার্থ মাথায় রেখে নিজ নিজ জায়গা থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সংসদীয় কমিটি জনগণের পক্ষে এবং যাদের জন্য আইন প্রণয়ন করে, তাদেরকে নিয়ে কাজ করতে চায়।
স্পিকারকে উদ্দেশ করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘সংসদীয় স্থায়ী কমিটির আমন্ত্রণে সাড়া না দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে আপনার নিকট একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। আমি মনে করি, এটার কোনো দরকার ছিল না।’ বিল দুটির ওপর প্রতিবেদন দেওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্বের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকেও অবহিত করা হয়েছে বলে জানান সুরঞ্জিত। তিনি বলেন, কমিটি প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছে এবং একই সঙ্গে সম্মানজনকভাবে বিষয়টি সমাধানের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছে।